প্রতিষ্ঠাতা: মুজাহিদে আযম হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ.

জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ, ঢাকা-এর মুখপত্র

প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৩৭ ঈসায়ী

তাসাওউফ শাস্ত্রের সেরা মুজাদ্দিদ

তাসাওউফ শাস্ত্রের সেরা মুজাদ্দিদ

হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রহ.

তাসাওউফ শাস্ত্রের সেরা মুজাদ্দিদ

সায়্যিদ সুলাইমান নদভী রহ.

 

বক্ষ্যমাণ পৃষ্ঠাগুলোতে এমন এক মহান ব্যক্তিত্বের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে, যিনি তাঁর যুগের সকল কীর্তি ও কৃতিত্বের আধার ও বহুবিধ গুণের অধিকারী ছিলেন। আলেম, হাফেয, ক্বারী, শিক্ষক, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফক্বীহ, ওয়ায়েজ, সুফী, মুতাকাল্লিম, তার্কিক, পরিচালক, প্রকাশক, সাহিত্যিক, খানকাবাসী সাধক, শায়েখ—সবকিছুই। তবে তিনি তাঁর সকল কৃতিত্ব ও বৈশিষ্ট্যকে তাসাওউফ—শাস্ত্রের সংস্কার ও পূর্ণতার পেছনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছেন। অন্যান্য সকল জ্ঞান ও শাস্ত্রে পূর্ণ ব্যুৎপত্তি ও গবেষণা—প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও এর কোনোটিকেই স্বতন্ত্র ও বিশেষ কর্মক্ষেত্র হিসাবে গ্রহণ করেননি; বরং নিজের সকল ইলম ও প্রজ্ঞাকে কেবল এ মর্যাদাশীল শাস্ত্রের খেদমতে নিয়োজিত করেছেন। অতএব এ কথা বলা ভুল হবে না যে, তাঁকে অন্যান্য সকল ইলম ও আমলে কৃতিত্বের অধিকারী করা হয়েছিল কেবল এ কারণে যে তাঁর মাধ্যমে এ শাস্ত্রের সংস্কার হবে। যে শাস্ত্রটি তখন পৃথিবীজুড়ে বড় অসহায় অবস্থায় আর হিন্দুস্তানে প্রবাসীর মতো সময় পার করছিল। যার রূপ ও স্বরূপের উপর স্তরে স্তরে পর্দা পড়ে গিয়েছিল। যার আলোকোজ্জ্বল দেহ বিদআতের অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছিল। তাসাওউফ তখন তথাকথিত সুফী—দরবেশদের হাতে দুনিয়াদারি ও দুনিয়া উপার্জনের একটি মোক্ষম উপায়ে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। যেখানে এর অস্তিত্ব ছিল সেখানেও তা কেবল কিছু দার্শনিক চিন্তা—ভাবনার সমষ্টি কিংবা কিছু দুআ—অজিফার নেসাব ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। পূর্বসূরিগণ এ শাস্ত্রের যে সকল মাসায়েল পরিষ্কারভাবে লিখে গিয়েছিলেন তা একেবারে বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল। বিশেষত সুলূকের স্বরূপ ও উদ্দেশ্য একেবারেই আড়ালে চলে গিয়েছিল। যেখানে এর কিছু নাম—নিশানা ছিল সেখানেও শাস্ত্রীয় দিক থেকে ‘ওয়াহদাতুল ওজুদ’ বা ‘ওয়াহদাতুশ শুহূদে’র দুর্বোধ্য; বরং অসম্পূর্ণ ব্যাখ্যা—বিশ্লেষণেই পূর্ণ তুষ্ট ছিল। আমলের ক্ষেত্রে যিকির—ফিকির ও মুরাকাবার কিছু নিয়মনীতি পালন করতে পেরেই পুরোপুরি তুষ্ট ও পরিতুষ্ট ছিল। বিদআত দীনের নাম ধারণ করেছিল আর রসম—রেওয়াজ সুলূক ও তাসাওউফের জায়গা দখল করে নিয়েছিল। তরীকত ও শরীয়তকে দুটি বিবদমান প্রতিপক্ষ মনে করে একে অপরকে ধরাশয়ী করার প্রয়াস চলছিল। প্রচলিত সুফীদের মুখে মূর্খতাপূর্ণ কিছু বাক্য ও বিদআতী কিছু নিয়ম—নীতি ও আমল জারি ছিল, যাকে ‘তরীকত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

সুফীধারার মূর্খতা ও মৌরুসি গদ্দিনশিনীর ধারাবাহিক রসম আল্লাহ তাআলার দয়া, দান ও গ্রহণযোগ্যতাকেও দুনিয়া উপার্জনের কারখানায় পরিণত করে রেখেছিল। কেবল গুরুত্বসহ উরশ ও ফাতেহাখানি করা এবং সামা, গান ও কাওয়ালির ব্যবস্থা করাই ছিল খানকার কাজ। নির্দিষ্ট দিন—তারিখে কিছু লোক একত্র হয়ে ফাতেহাখানি করবে, মিষ্টি খাবে আর এক জায়গায় বসে বাদ্য বাদকের সুরে তাল মিলিয়ে ‘হুয়া হক’ করবে। বেশি হলে ওয়াহদাতুল উজুদের আড়ালে ধৃষ্টতা, অশিষ্টতা ও ভাব—তন্ময়তামূলক কিছু কবিতা ও রচনা পড়ে নেবে এবং মাথা দুলিয়ে নেবে। সিনা—বসিনার কিছু রহস্য ছিল, যা না বুঝেই বার বার আওড়ানো হতো। আক্বীদা বিশুদ্ধ করা, ইবাদত—বন্দেগী সুন্দর করা, সুন্নত প্রতিষ্ঠা করা, আমল সংশোধন করা ও বান্দার হক আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া, যা প্রকৃত দীন ছিল ও সহীহ সুলূক ছিল তা সব জায়গা থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। উলামায়ে জাহের যেহেতু আধ্যাত্মিকতাকে অস্বীকার করতেন বা এর ব্যাপারে অনবহিত ছিলেন তাই তাদের উপদেশ ও নসীহতের গুরুত্ব সুফীদের কাছে এর চেয়ে বেশি ছিল না যে, ‘জানে না তাই সমালোচনা করে।’ আর এটা মনে করা হতো যে তারা যেহেতু তরীকতের প্রকৃত রহস্য ও ভেদ জানে না, তাই তাদের কথা গ্রহণ করার উপযুক্ত নয়। উলামায়ে জাহের যেহেতু বাতেন বা আধ্যাত্মিকতাকে অস্বীকার করতেন বা এ বিষয়টি সম্পর্কে অনবহিত ছিলেন, তাই তারা এ তথাকথিত দুনিয়াদার সুফীদের দেখে মূল তাসাওউফ—শাস্ত্রকেই পথভ্রষ্টতা ও গোমরাহী আখ্যা দিয়েছিলেন। তাদের নিয়ম—নীতি ও মাসায়েলকে শরীয়তবিরোধী এবং কোরআন ও সুন্নাহ—পরিপন্থী মনে করতেন।

এ কথা বলা যাবে না যে, হক্কানী আলেম ও হক্কানী সুফী—দরবেশের অস্তিত্ব কোথাও ছিল না। নিঃসন্দেহে বিভিন্ন জায়গায় সহীহ ও নেককার বুযুর্গগণের সিলসিলা অব্যাহত ছিল। কোথাও কোথাও তাদের ফয়েজ ও বরকতও জারি ছিল, তাদের তা’লীম—তরবিয়ত ও শিক্ষা—দীক্ষার বরকতও উজ্জ্বল হচ্ছিল। কিন্তু যা কিছুই ছিল তা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের জন্য ছিল এবং একটি গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মানুষকে হকের শিক্ষা প্রদান ও হেদায়েতের কাজ তো চলছিল কিন্তু এ শাস্ত্রকে সংকলন করা, এর নিয়মনীতিতে সংযোগ—বিয়োজন করা, মাসআলাগুলোর তাহকীক করা এবং সুলূক ও তাসাওউফকে কোরআন, সুন্নাহ, সালাফে সালেহীন ও কামেল বুযুর্গগণের ব্যাখ্যা—বিশ্লেষণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার কাজ কোথাও হচ্ছিল না। আর বয়ান, ওয়াজ ও লেখালেখির মাধ্যমে জনসাধারণের চিন্তা—ভাবনা সংশোধনের কোনো চেষ্টাও ছিল না। এমনিভাবে মানুষের সন্দেহ দূর করা ও সংশয় কাটিয়ে তোলার কোনো ধারাও ছিল না। এ পথের পথিকদের জাহেরী ও বাতেনী দীক্ষার জন্য এমন কোনো দরসগাহ ছিল না যেখানে এ পথের জটিল বিষয়গুলোকে জ্ঞানের আলোকে ও শাস্ত্রীয়ভাবে বর্ণনা করা হবে এবং শিক্ষা দেওয়া হবে। না তখন এমন কোনো মসনদ ছিল যেখানে শরীয়ত ও তরীকতের মাসআলাগুলোকে খুলে খুলে বয়ান করা হয়। যেখানে তাফসীর, ফিক্বহ ও হাদীসের পাশাপাশি কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে আত্মার ব্যাধিরও চিকিৎসা বাতলে দেওয়া হয়। যেখানে একদিকে ক্বালাল্লাহ ও ক্বালার রাসূলের সুর ধ্বনিত হয় অপর দিকে ইবাদত—বন্দেগীর ভেদ ও সুন্নতের অনুসরণের নিগূঢ় তত্ত্ব শিক্ষা দেওয়া হয়। যে কলম দ্বারা ফিক্বহী মাসায়েল লিপিবদ্ধ করা হয় ওই কলম দ্বারা সুলূক ও তরীক্বতের মাসায়েলও লেখা হয়। যে মিম্বর থেকে নামায, রোযা, হজ ও যাকাতের ফিক্বহী মাসায়েল ও ফযীলত আলোচনা করা হয় সে মিম্বর থেকেই আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর স্বরূপ ও তা পালনের উপায়ও বর্ণনা করা হয়। আল্লাহ তাআলা এ শতাব্দীতে এ মহান কাজের জন্য হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত (আমার মুর্শিদ ও মনিব মাওলানা শাহ আশরাফ আলী) রহ.—কে নির্বাচন করেছেন। তাঁর দ্বারা সে কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন, যা কয়েক শতাব্দী যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

এ ছাড়া সময়ের দাবি ছিল, যুগচাহিদা যে নতুন নতুন প্রয়োজন সৃষ্টি করেছে দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে সেগুলোরও সমাধান করা। তো একদিকে আল্লাহর পবিত্র কালামের তাফসীর প্রস্তত হলো, দ্বিতীয়ত হাদীসে নববীর নতুন সংকলন তৈরি হলো, তৃতীয়ত ফিক্বহ ও ফত্ওয়ার ভান্ডার সংকলিত হলো, চতুর্থত বিভিন্ন বিষয়ের স্বরূপ ও ভেদ সংকলিত হলো, পঞ্চমত তাসাওউফের মূলনীতিগুলো সংকলিত হলো—যা তখনো পর্যন্ত হয়ে উঠেনি। এতে তাসাওউফের ওই সকল অবস্থা ও ধরন নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা না বোঝার কারণে নানা ধরনের গোমরাহীর দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। অপর দিকে মাওলানা রুমী রহ. এর মসনবী খোলা হলো। যেখানে যুগ যুগ ধরে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিভিন্ন ভেদ ও রহস্যের ভান্ডার গচ্ছিত ছিল।

সাধারণ মুসলমানদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন তো তাদের জীবনে প্রাণসঞ্চারের চেষ্টা করেছেন। বিয়ে—শাদির রসম—রেওয়াজ সংশোধন করেছেন। নেককার নারীসমাজের জন্য বেহেশতী জেওর প্রস্তুত করেছেন। ছোটদের জন্য শিক্ষা—দীক্ষার আদব ও নিয়মনীতি সংকলন করেছেন। শিক্ষকদের নিয়মনীতির ছক তৈরি করেছেন। লেনদেন ও বেচাকেনার দ্বীনি মূলনীতি বুঝিয়েছেন। দ্বীনি শিক্ষার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিস্তৃতি ও ব্যাপ্তি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করেছেন, যাতে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল বিষয় অন্তভুর্ক্ত হয়ে গেছে। সাধারণ মুসলমানদের পথনির্দেশের জন্য জায়গায় জায়গায় ওয়াজ—নসীহতের প্রদীপ জে¦লেছেন। শহরে শহরে ঘুরে মানুষকে গাফলতের ঘুম থেকে জাগ্রত করেছেন।

উলামা, ফোক্বাহা ও গবেষক আলেমগণের জন্য বাওয়াদেরুন নাওয়াদের ও বাদায়ে—এর ধারা চালু করেছেন। মুজতাহিদ ইমামগণের পূর্বমত থেকে ফিরে আসার ঘোষণা প্রদানের রুদ্ধ ধারাকে তারজীহুর রাজেহ নামে পুনরায় চালু করেছেন। নিজের ভুল সিদ্ধান্তগুলো সকলের সামনে সুস্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, যেন ভবিষ্যতে এর কারণে মুসলমানরা হোঁচট না খায়। নওমুসলিমদের বিভিন্ন সংশয়ের জবাব দিয়েছেন। বাতিল ফিরকাগুলোর রদ করতে পুস্তিকা রচনা করেছেন। আমল, আখলাক ও বান্দার হকের গুরুত্ব সুস্পষ্ট করেছেন। হাজারো মুসলমানকে ওই সকল বিষয়ের তা’লীম দিয়েছেন, যা সাধারণ মুসলমান তো পরের কথা, দ্বীনদার বিশেষ শ্রেণিও ভুলে বসেছিল। নিয়মনীতি ও আদব—আখলাককে এমন ধারায় সংকলন করা হয়েছে যেগুলোকে মানুষ প্রায় শতাব্দীকাল ধরে দীনের গণ্ডির বাইরে ফেলে রেখেছিল।

তাঁর পরে এ ধারায় তা’লীম ও তরবিয়তের কাজ অব্যাহত থাকার জন্য দেড় শ’র অধিক খলীফা রেখে গেছেন। যারা তাঁর পরে এখনো সে কাজগুলো আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এ ধারায় উলামা আছেন, শিক্ষিত শ্রেণি আছেন, সাধারণ মানুষ আছেন, ধনী আছেন, দরিদ্রও আছেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আছেন, জমিদার আছেন, ব্যবসায়ীও আছেন, আবার একেবারে নিঃস্বজনও আছেন। এর থেকে এ হালকার ব্যাপকতা আজও উপলব্ধি করা যায়।

মাদরাসাগুলো নিয়ে ভেবে দেখুন। দারুল উলূম দেওবন্দ, মাজাহেরুল উলূম সাহারানপুর, দারুল উলূম নদওয়াতুল উলামা, এমনকি প্রথম আলীগড় কলেজ আর বর্তমান মুসলিম ইউনিভার্সিটি এবং হিন্দুস্তানের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত অসংখ্য মাদরাসা। ভৌগোলিক দিক থেকে বিচার করে দেখুন, সীমান্ত প্রদেশ থেকে নিয়ে বাঙ্গাল, মাদ্রাজ ও গুজরাট পর্যন্ত; বরং হিজায, আফ্রিকাসহ পৃথিবীর যেখানেই হিন্দুস্তানী মুসলমানরা পৌঁছেছে সেখানেই তাঁর প্রভাব বিস্তার লাভ করেছে। এ লেখকের হিন্দুস্তানের দূর—দূরান্তের প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত সফর করার তাওফীক হয়েছে। যেখানেই গিয়েছি অনুভব করেছি, এ আলো আরও আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। কেউ—না—কেউ সে আলোয় আলোকিত হয়েছে।

এ তা’লীম—তারবিয়ত ও শিক্ষা—দীক্ষা, লেখালেখি ও রচনা, মাওয়ায়েজ ও মালফুজাতের কল্যাণে সহীহ আক্বীদার প্রচার হয়েছে। সহীহ মাসআলার প্রসার ঘটেছে। দ্বীনি শিক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। বিদআত ও রসম—রেওয়াজ নিশ্চিহ্ন হয়েছে। সুন্নতে নববী পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। গাফেলরা সচেতন হয়েছে। বিস্মৃতির আঁধারে হারিয়ে যাওয়াদের হৃদয়ে খোদার স্মরণ জাগ্রত হয়েছে। বিচ্ছিন্নরা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর মহব্বত ও ভালোবাসায় হৃদয় তপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহর স্মরণে আলোকিত হয়েছে। তাসাওউফ—শাস্ত্র যে অমূল্য সম্পদ থেকে শূন্য হয়ে পড়েছিল তা পুনরায় শিবলী, জুনাইদ, বুস্তামী, জিলানী, সোহরাওয়ার্দী, সেরহিন্দী প্রমুখ বুযুর্গগণের ধনভান্ডারে সুসমৃদ্ধ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাআলা তাঁকে রহম করুন। এটাই সে তাজদীদ ও সংস্কার—যা আল্লাহ তাআলা এ শতাব্দীর মুজাদ্দিদের জন্যই বিশেষিত করেছেন।

ایں سعادت بزور بازو نیست

تا نہ بخشد خدائے بخشندہ

পরম দাতা আল্লাহ তাআলা দান না করলে এ সৌভাগ্য গায়ের জোরে অর্জন করা যায় না।

মুকাতাবাতে সুলাইমান থেকে অনুবাদ, মাওলানা আব্দুল মুমিন।

 

Avatar

niyamot

একটি কমেন্ট করুন