প্রতিষ্ঠাতা: মুজাহিদে আযম হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ.

জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ, ঢাকা-এর মুখপত্র

প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৩৭ ঈসায়ী

তোমাদের লেখা

তোমাদের লেখা

রোযনামচা

হঠাৎ স্বচ্ছ নীল আকাশ ছেয়ে গেল ঘন কালো অঁাধারে। ঝলমল রোদে আলোকিত প্রকৃতি ধারণ করল বিমর্ষরূপ। আকাশে মেঘ জমেছে, না কি সন্ধ্যে ঘনিয়ে এসেছে বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি মাত্র সাড়ে তিনটে বাজতে চলেছে। কিন্তু বাইরের পরিবেশ দেখে একদম তা বোঝা যাচ্ছে না। জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাইরে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। গ্রীলে হাত রেখে অনুভব করলাম ঠাণ্ডাটাও বেশ পড়েছে।

প্রকৃতির আলো—আঁধারের খেলার কথা ভাবতে ভাবতে আনমনা হয়ে আকাশের বিশালতা দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণ আগে মেঘ উড়াউড়ি করছিল। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। গায়ে বৃষ্টির পানি লাগতেই ঘোর কেটে গেল। এদিকে কারেন্টও আমায় টাটা বলে কিছুক্ষণের জন্য বিদায় নিয়েছে। বাধ্য হয়ে টেবিল ল্যাম্পটা জ¦ালিয়েই লিখতে বসলাম। কিন্তু বাইরের শীতল হাওয়া বারবার গায়ে আলতো পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে কম্বল জড়িয়ে একটু শুতে। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো চা বা কফি নিয়ে লিখতে বসে যেত। কিন্তু আমার এই মুহূর্তে চা বা কফি খেতে একদম মন চাইছে না। খুব ইচ্ছে করছিল প্রকৃতিটা দেখতে। উপভোগ করতে। তাই আর দেরি না করে এক ছুটে বারান্দায় চলে এলাম। প্রচন্ড বৃষ্টি কিন্তু ঝড়ো হাওয়া কিছুটা কমে এসেছে। প্রকৃতির সীমাহীন সুন্দর ঘ্রাণ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। প্রতি নিঃশ^াসে বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধ যেন বিভোরতা সৃষ্টি করতে চাইছে।

ঐ দূরে গাছের ডালের আড়ালে একটি পাখি দেখা যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা করে বৃষ্টিতে ভিজছে। ডানা ঝাপটাচ্ছে। বকুনি খাওয়ার কোনো ভয় নেই। পাখিটাকে দেখে আমার মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। মনে মনে ভাবতে লাগলাম, যদি আমারও পাখির মত ডানা থাকত তাহলে আমিও বৃষ্টিতে মজা করে ভিজতে পারতাম। আম্মুর বকুনি খাওয়ার ভয় থাকত না। উড়ে বেড়াতে পারতাম ঐ দূর নীলিমায়। যেখানে ইচ্ছে সেখানেই। থাকত না কোনো বাঁধা। এসব আকাশ—কুসুম চিন্তা—ভাবনা করতে করতে ডুবে গেলাম ভাবনার অতল সমুদ্রে।

—আমীন

গ্রেটওয়াল সিটি, গাজীপুর

 

শুক্রবার

৪ মে ২০২৩

গতকাল আমরা পার্কে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক মজা করেছি। প্রথমে একটি পার্কে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি গাছ আছে। গাছটির চোখ, মুখ আছে। কথা বলে। সেখানে বড় বড় অনেকগুলো ডায়নোসর বানিয়ে রেখেছে। ডায়নোসরগুলোর লেজ ও মুখ নড়ে। আরেকটি বাঘ ও কয়েকটি জিরাফ বানানো ছিল। আমরা চার ভাই—বোন জিরাফগুলোর উপর উঠেছি। সেখানে বড় একটি খোলা মাঠ ছিল। সেখানে কিছুক্ষণ বসে তারপর আরেকটি পার্কে গেলাম। সেখানে একটি হোটেল ছিল। আমরা হোটেলটিতে দই, নুডুলস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়েছি। আমরা খাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে দেখলাম বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টি দেখে মুহাম্মদের মন খারাপ হয়ে গেল। ও বলে, এখন বৃষ্টি কেন হচ্ছে? কোনো কিছুতে এখনও উঠতে পারিনি।

খাওয়া—দাওয়া শেষ করে আমরা একটি বিল্ডিং এর ভিতরে গেলাম। ঐ বিল্ডিংটার নাম কিড্স জোন। সেখানে অনেক খেলনা ছিল। আমরা অনেক মজা করে খেলেছি। বৃষ্টি কমার পর আমরা ট্রেনে চড়েছি। খুব মজা করেছি। আসরের কিছুক্ষণ আগে আমরা বাসায় ফিরে আসলাম।

—আফিফা সিদ্দিকা

সাইনবোর্ড, ঢাকা

লেখক সম্পর্কে
Avatar

zobayer

একটি কমেন্ট করুন