প্রতিষ্ঠাতা: মুজাহিদে আযম হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ.

জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ, ঢাকা-এর মুখপত্র

প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৩৭ ঈসায়ী

সময়ের দিনলিপি

সময়ের দিনলিপি

ইবনে মাইন

 

২৮.১২.২০২০

আপন—পর, ধর্ম—অধর্মের বিভেদ ঘুচিয়ে মৃতের স্বজন তারা—বিডিনিউজ২৪

** করোনাকালে যারা আতঙ্ককে জয় করে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন মৃতদের দাফন করার জন্যে, তাদের নিয়ে এ প্রতিবেদন। প্রথমেই উঠে এসেছে নারায়ণগঞ্জের একজন কাউন্সিলরের কথা, যিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তি—উদ্যোগে এগিয়ে আসেন এবং শতাধিক লাশ দাফন করেন। এরপর বলা হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কথা, যারা ডিসেম্বর পর্যন্ত লাশ দাফন করেছে ২৬০০। সবশেষে এসেছে আলমারকাযুল ইসলামীর কথা, যাদের দাফন করা লাশের সংখ্যা ৩০০০। একজন সচেতন পাঠক এ আপত্তি এখানে করতেই পারেন—যারা কাজ করলেন বেশি, তাদের কথা পরে কেন? তাদের সম্পর্কে তথ্যাদি এমন দায়সারা গোছের কেন? তারা ইসলামের পোশাক নিজেদের গায়ে জড়িয়েছেন বলে? না অন্য কোনো প্রকার খেদ? ইসলামের প্রতি এবং যারা ইসলামী নাম ধারণ করে সামাজিক কাজ করেন, জনসেবায় এগিয়ে আসেন, তাদের প্রতি মিডিয়ার অবহেলা অবশ্য নতুন কিছু নয়।

 

২৯.১২.২০২০

বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে ভারতীয় চোরাকারবারী নিহত—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** এই মনে হয় প্রথমবারের মতো প্রমাণিত হলো—চোরাকারবার কেবল বাংলাদেশিদের কাজ নয়, ভারতীয়রাও এতে জড়িত।

বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধারই তার নেশা—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** সুনামগঞ্জের ছাতক থানার এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল। প্রতারণার শিকার বিকাশ গ্রাহকদের টাকা উদ্ধার করে দিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন তিনি। এমন রাসেল যদি দেশের প্রতিটি থানায় থাকত, প্রতিজন পুলিশ সদস্যই যদি নিজেকে রাসেলের মতো এভাবে প্রকৃত অর্থেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রাখত, তবে ‘পুলিশ’ শব্দটি হতো আমাদের আস্থা ও ভরসার জায়গা। প্রকৃত অর্থেই তারা হয়ে উঠতেন জনগণের বন্ধু।

 

৩০.১২.২০২০

বেশি খেলে লাখ টাকা জরিমানা, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় অদ্ভুত নির্দেশ চীনে—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** খবরে প্রকাশ, চীনে প্রতিবছর ৩ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়, যা মোট উৎপাদনের ৬ শতাংশ। এর পাশাপাশি রয়েছে ‘ওভার ইটি ‘ নামক চ্যালেঞ্জের জনপ্রিয়তা। খাদ্যসংকটের নতুন পরিস্থিতিতে চীন কি মানবতার ডাকে সাড়া দিতে শিখবে? মিতব্যয়িতার পথ ধরে হাঁটবে? আসলে যুগ যুগ ধরে যখন কোনো রেওয়াজ গড়ে ওঠে, তা সু হোক আর কু হোক, রাতারাতিই তা পাল্টে দেওয়া যায় না।

 

২০২০ : শাস্তি বাড়লেও কমেনি ধর্ষণ—নিপীড়ন—বিডিনিউজ২৪

** এ তো আমাদের পুরোনো কথাই। কাগজে—কলমে শুধু মৃত্যুদণ্ডের আইন কোনো অপরাধ ঠেকানোর জন্যেই যথেষ্ট নয়। এখানে প্রয়োজন আইনের স্বচ্ছ প্রয়োগ, বিচারব্যবস্থার প্রকৃত স্বাধীনতা, আরও বেশি প্রয়োজন উপযুক্ত আইন। আল্লাহর দেওয়া বিধানকে এড়িয়ে নতুন কোনো আইন যখন প্রণীত হয়, সে আইনে যা কিছুই হোক, মানবতার মুক্তি মেলা সম্ভব নয়। যেমন সম্ভব হয়নি আমাদের নতুন প্রণীত ধর্ষণবিরোধী আইনের ক্ষেত্রেও। ধর্ষণ বন্ধ করতে চাইলে ব্যভিচারের পুরো পথটাই বন্ধ করতে হবে। এর বিকল্প নেই।

 

৩১.১২.২০২০

আরও যাদের হারালাম—আমাদের সময়

** করোনা যাদের কেড়ে নিল—এ শিরোনামে পত্রিকাটি ছবি ছাপিয়েছে অনেক বিশিষ্টজনের। এ তালিকায় বর্ষীয়ান আলেম মাওলানা শাহ আহমদ শফী এবং প্রবীণ আলেম মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর নামও রয়েছে। তারা দুজনই ছিলেন এ দেশের হাজারো আলেম আর লাখ—লাখ তালিবুল ইলম ও ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রিয় ব্যক্তি। দুজনেই করোনার সময়ে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু কথা হলো, তাদের দুজনের কেউই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেননি। মাওলানা কাসেমী রহ. এর করোনা নেগেটিভ হওয়ার বিষয়টিও তো সংবাদমাধ্যমে এসেছিল। এরপরও তাদের নাম ও ছবি কেন যুক্ত হলো এ তালিকায়? করোনার আঘাতে অনেক বিশিষ্টজন বিদায় নিয়েছেন ঠিক। কিন্তু আমাদের কথা সংবাদের স্বচ্ছতা ও সত্যতা নিয়ে; অন্য কিছু নয়।

 

ময়মনসিংহে বাংলায় একমাত্র অনার্স—মাস্টার্স পাশ সিদ্দিক স্যার!—বিডিনিউজ২৪

** সিদ্দিক স্যার কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন ময়মনসিংহে। নিজেকে ময়মনসিংহের একমাত্র অনার্স—মাস্টার্স (বাংলায়) পাশ দাবি করে লিফলেটে প্রচার করছেন। এবার টনক নড়েছে সাংবাদিকদের। এ নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে। অথচ আমাদের এ দেশে, কিংবা এ শহরে এমন কত শত লিফলেট পাওয়া যায়, যেগুলোর মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিদিন বহু মানুষ! সেগুলো দেখার কেউ আছে কি?

 

৩.১.২০২১

চিনিকলের দুর্নীতির কথা বললেন কর্মকর্তাদের সন্তানরাও—বিডিনিউজ২৪

** দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে থাকা চিনিকলগুলো যখন সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে, তখন জাতির সামনে এল এ বিরল সংবাদ—সন্তানদের মুখে কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সাক্ষ্য! ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’বলে একটি প্রবাদ আছে বাংলায়। সে প্রবাদের একটি আক্ষরিক বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমাদের হলো।

 

৫.১.২০২১

দুদক কর্মীদের অঙ্গীকার থাকতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** অঙ্গীকার তো সবাই করে। স্কুলে ছাত্ররা প্রতিদিনই অঙ্গীকার করে, শপথবাক্য পাঠ করে। অঙ্গীকারই যদি যথেষ্ট হতো, তবে দেশে আর দুর্নীতি—দুঃশাসন—অপকর্ম বলতে কিছু থাকত না। আমরা বরং দেখি, শিক্ষার্থীরা যেখানে প্রতিদিনই অঙ্গীকারবাক্য পাঠ করে, সেখান থেকেই তাদের শুরু হয় অঙ্গীকার ভঙ্গের মহড়া। এ মহড়া শেষে যখন চাকরিতে ঢোকার সময় হয়, তখন শুরু হয় দুর্নীতির বাস্তবায়ন। ঘুষ দিয়ে প্রবেশ, ঘুষ নিয়েই টিকে থাকা—এ তো আমাদের দেশেরই চিত্র। নতুন নয়, অনেক দিনের পুরোনো। এ দেশের এ পরিবেশে তাই দুদককে প্রকৃত অর্থেই ‘দুদক’ হতে হলে কাজ করতে হবে তৃণমূলে, গণমানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে নীতি—নৈতিকতার পাঠ। নৈতিকতার এ বোধ জাগ্রত করতে না পারলে আমাদের এসব অঙ্গীকার কিছু শাব্দিক উচ্চারণমাত্র!

 

৬.১.২০২১

রোগীরা গরিব, তাই সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বিল মওকুফ করলেন মুসলিম চিকিৎসক!—ইসলাম টাইমস২৪

** ঘটনাটি আমেরিকার একজন ক্যান্সার চিকিৎসকের। এ সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে তাকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে নিজের ক্লিনিকটিও। তবুও সাহস করেই তিনি এ কাজ করেছেন। আসলে মানবতার এ ডাক নতুন কিছু নয়। অসহায় মানুষ সমাজে থাকেই। তাদের ঋণ মওকুফ করে দেওয়া, কখনো বিলম্বিত করা—এগুলো মানবতার দাবি। কিন্তু আধুনিক সমাজের নিকট এসব নীতিকথার কোনো মূল্য নেই। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় তো গরিবদের একপ্রকার শোষণ করেই ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখানো হয়। আমেরিকাসহ আধুনিক পৃথিবী এ ডাক্তারের কাছ থেকে কিছু শিখবে কি?

 

৮.১.২০২১

ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিলেন জাকারবার্গ—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** এ মুহূর্তে পুরো পৃথিবীতে ট্রাম্পের চেয়ে অসহায় আর কে আছে! নির্বাচনে হেরে গেলেন। আদালতেও হারলেন। আপনজনেরা একে একে পক্ষ ত্যাগ করছে। যে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উগ্র সমর্থকদের খেপিয়ে তুলতেন, সেসব মিডিয়া কতৃর্পক্ষও বন্ধ করে দিয়েছে তার অ্যাকাউন্ট। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম—ট্রাম্পের সব অ্যাকাউন্টই ক্লোজড। অথচ তিনি এখনো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! আমেরিকার মতো দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তির এমন দৃশ্য অসহায়ত্বের জগতে এক নতুন সংযোজন।

 

সন্তান নিলেই ৮৫ লাখ টাকা!—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** দক্ষিণ কোরিয়ার এক শহরে সন্তান নেওয়ার প্রতি এভাবেই প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। ঋণ দেওয়া হবে মোটা অঙ্কের, ঋণের সুদ মওকুফ করে দেওয়া হবে প্রথম সন্তান হলে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হলে আসলের পরিমাণ কমে যাবে ৩০%। আর তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে পারলে তো পুরো দেনাই মাফ! আসলে স্বভাব—বিরোধিতার ফল এমনই হয়। এ মুহূর্তে হয়তো সে শহরের অসহায় কর্তৃপক্ষ ভাবছে—বাংলাদেশটি যদি আমার হতো! বাংলাদেশিদের এ কামনাও নাকচ করা যাবে না—এমন ঘোষণা যদি আমাদের থাকত!

 

১০.১.২০২১

নেদারল্যান্ডে মুসলিমবিদ্বেষী নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি ডানপন্থী নেতার—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** আসলে এটা একজনমাত্র নেতার চরিত্র নয়। এটা মূলত সে দেশের জনগণের ইসলামবিদ্বেষী মানসিকতার প্রকাশ। জনগণের মানসিকতাকেই পুঁজি করে প্রচারণা চালান নেতারা। এ প্রতিশ্রম্নতিও এর ব্যতিক্রম কিছুই নয়। আর পশ্চিমারা যে কতটা ইসলামবিদ্বেষী, এর প্রমাণ তো আমরা পেয়েছি আমেরিকার গত দুটি নির্বাচনে। খোলামেলা মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে একবার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প। আরেকবার পারেননি। তাই বলে এমন নয় যে, তিনি আমেরিকার নির্বাচনী ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন!

 

১১.১.২০২১

শাহরিয়ার কবিরের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিতর্কিত ছবি—ইসলামটাইমস২৪

** শাহরিয়ার কবিরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। যে ছবি নিয়ে তোলপাড়, তা এতদিন আমিও মুক্তিযুদ্ধের ছবি হিসাবেই জানতাম। এখন জানলাম এর অসত্যতার কথা। শাহরিয়ার কবির এ ভুলটি না করলে এ তথ্যটি আমার হয়তো অজানাই থেকে যেত।

 

১৬.১.২০২১

‘চাকরিদাতা’ ২৩ প্রতারক গ্রেপ্তার—প্রথম আলো

** ঢাকার গণপরিবহনে চলাচল করে আর এমন চাকরির বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনি, এমন মানুষ হয়তো এ শহরে পাওয়া যাবে না। আবার এ কথাও স্বীকৃতই—এসব বিজ্ঞাপন কেবলই প্রতারণা, অন্য কিছু নয়। প্রশাসন আর আইন—শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে যে তারা কীভাবে তাদের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল, এটাই ছিল এক বিস্ময়। যাক, অবশেষে ২৩ জন সোনার মানিক এবার গ্রেপ্তার হলেন!

২০.১.২০২১

কারাগারের বদলে ৪৯ জন কমবয়সি আসামিকে ‘এক শ মনীষীর জীবনী’ উপহার—ইসলামটাইমস২৪

** সুনামগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেনের এ এক উদ্ভাবনী রায়। এমন চিন্তা করার মানুষ আমাদের সমাজে এখনো হারিয়ে যায়নি। কিন্তু চারপাশের পরিবেশটাই যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে—ভালো সব চিন্তা আর উদ্যোগ বেড়ে ওঠার আগেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে!

 

২১.১.২০২১

ক্ষমতা পেতে—না—পেতেই ফিলিস্তিনবিরোধী মন্তব্য মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** আমেরিকা ফিলিস্তিনের স্বার্থও দেখে—এমন রেকর্ড কি আছে কোনো আমেরিকান সরকারের? প্রশ্নটি এভাবেও করা যায়—আমেরিকার ক্ষমতার মসনদে বসে ইসরায়েলবিরোধী, ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের বাস্তব অধিকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বা কোনো মন্ত্রীর আছে কি? মানুষ তো বলে, আমেরিকা শাসন করে পৃথিবী আর আমেরিকাকে শাসন করে ইসরায়েল!

 

২৩.১.২০২১

গৃহহীনদের ঘর পেলেন দুইবারের সাবেক সেই এমপি—বাংলাদেশ প্রতিদিন

** অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, ময়মনসিংহের সাবেক এমপি জজ মিয়া বাস্তবিক অর্থেই ছিলেন গৃহহীন। ভাড়া বাসায় মানবেতর জীবন কাটাতেন। সংবাদের ভাষ্য এমনই। আগের বাড়িঘর সবকিছু একে একে দুই স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছিলেন। শেষে যা ছিল তা দিয়ে দিয়েছেন মসজিদে। এরপর তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। কিন্তু এবার এ বাড়িটিও যে এ স্ত্রীকে দিয়ে আবারও তিনি গৃহহীন হয়ে যাবেন না, এর নিশ্চয়তা আছে?

 

২৪.১.২০২১

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ‘ভালো হবে’ মনে হচ্ছে সিইসির—বিডিনিউজ২৪

** জনাব সিইসি সাহেবের মনে হয় বয়স হয়েছে। আর এর ছাপই এসে পড়েছে তার এ আশাবাদে। তিনি তো এমন দুর্বল আশাবাদ ব্যক্ত করার মানুষ নন। ‘মনে হচ্ছে’ বলার অর্থ হচ্ছে—নাও হতে পারে। তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা তো আরও বেশিই থাকে। তিনি বলতে পারতেন—নির্বাচন অবশ্যই ভালো হবে, সুষ্ঠু হবে।

 

৪ বছরে ৩০ হাজারের বেশি মিথ্যা বলার নজির ট্রাম্পের—বিডিনিউজ২৪

** আমেরিকার এ যাবৎ যত প্রেসিডেন্ট অতিক্রান্ত হয়েছেন, জীবিত কিংবা মৃত, তারা এবং তাদের উত্তরসূরিরা, এর পাশাপাশি যারা ভবিষ্যতে নির্বাচিত হয়ে আসবেন হোয়াইট হাউজে, তারা সকলেই ট্রাম্পকে ঈর্ষা করতে পারেন। যে পরিমাণ রেকর্ড তিনি গড়েছেন, এটা আর কারও পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। অবশ্য ভবিষ্যতের কথা না বলাই ভালো। ট্রাম্প মিথ্যা বলে রেকর্ড গড়েছেন, হাসির খোরাক জুগিয়েছেন বারবার, খোলামেলা মুসলিমবিদ্বেষী প্রচারণা চালিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার আসল চরিত্র, পার্লামেন্ট ভবনে হামলা করিয়েছেন, নারীদের নিয়ে কত কথা বলেছেন, যখন তিনি নির্বাচিত হয়েছেন প্রথমবার তখনো অপছন্দের প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন, পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নয়, ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচনের ফল না মানার ঘোষণা দিয়েছিলেন, দুইবার অভিশংসিত হয়েছেন, চারিদিকে স্বীকৃত তার প্রতিদ্বন্দ্বীর বিজয়কে হোয়াইট হাউজে থাকাকালে তার শেষ নিঃশ্বাসটি পর্যন্ত অস্বীকার করে গেছেন—এমন আরও কত রেকর্ড যে তিনি করেছেন!

 

২৬.১.২০২১

পোশাকের উপর দিয়ে মেয়েদের গায়ে হাত দিলে তা যৌন হেনস্থা নয় : মুম্বাই হাইকোর্ট—আমাদের সময়

** মুম্বাই হাইকোর্ট এমন এক সময় এ কথা ঘোষণা করেছে, যখন বাংলাদেশে এক ভিক্ষুক গ্রেপ্তার হয়েছে নারী ও কিশোরীদের এমন যৌন হেনস্থার অপরাধে। মুম্বাই কোর্টের এ রায়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিবাহ—বহির্ভূত শারীরিক মেলামেশাই যেখানে অপরাধ নয়, সম্মতি থাকলেই ধর্ষণ কিংবা ব্যভিচার হয়ে যায় ব্যক্তি—স্বাধীনতা, সেখানে কাপড়ের উপর দিয়ে হাত দেওয়া আর কী! আসলে জাতিকে ধর্ষণের চলমান অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে হলে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই।

 

লেখক সম্পর্কে
Avatar

editor

একটি কমেন্ট করুন