সময়ের দিনলিপি
ইবনে মাইন
৩.১২.২০২০
২০২৪ সালে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করব : ট্রাম্প—বাংলাদেশ প্রতিদিন
** আমাদের হতাশ করলেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট! এত দ্রুত আপনি হার মেনে নিলেন! তবে আমরা বলতে পারি, আগামী নির্বাচনে দলের টিকেট আপনি পান আর না—ই পান, পৃথিবীর শত শত কোটি মানুষ আপনাকে স্মরণ রাখবে দীর্ঘদিন।
৮.১২.২০২০
এটি ভুল নাকি অনিয়ম—প্রথম আলো
* জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী ভাতাপ্রাপ্ত প্রায় দুই হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার বয়স ৫০—এর নিচে। তাদের কারও জন্ম ১৯৮২ সালে, কারও আবার ১৯৯১ সালে।
** বর্তমান সরকার, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার বলে থাকে, দীর্ঘদিন ধরে একটানা ক্ষমতায়। এরপরও যদি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় এ পরিমাণ অসঙ্গতি থাকে, তবে আমাদের হতাশ হতেই হয়। আর এটা যদি নিয়মের ভেতরেই হয়ে থাকে, তবে যদি ভোটার তালিকার মতো মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও ঘোষণা দিয়ে নবায়ন করা হতো, তাহলে আমরাও তো সুযোগ পেতাম।
৯.১২.২০২০
পৃথিবীব্যাপী প্লাস্টিক দূষণে তৃতীয়বারের মতো শীর্ষে কোকাকোলা পেপসি নেসলে—ইসলামটাইমস
** জরিপে এ তথ্যটাও আসতে পারত—এসব পণ্য কোন কোন দেশে বেশি বাজারজাত করা হয়। জানা কথা, এ পণ্যগুলোর কোনোটাই তৃতীয় বিশ্বের নয়, সবই রথী—মহারথীদের। তারাই আবার পৃথিবীর দেশে দেশে ঘুরে ঘুরে ফেরি করে সুস্থ পরিবেশের বার্তা। কথায় ও কাজে কী চমৎকার মিল—ভাবা যায়!
সম্পত্তি নিয়ে সন্তানদের বিরোধ, ২দিন ধরে পড়ে আছে পিতার লাশ—বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন
** সংবাদটি বেশ নাড়া দিয়েছে আমাদের। আমাদের সমাজে তো এমন হওয়ার কথা ছিল না। পাওনা টাকার জন্যে পাওনাদাররা এসে লাশ দাফনে বাধা দিতে শুনেছি, কিন্তু নিজের সন্তানরাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লাশ দাফনের—বিষয়টি খুবই ভীতিকর! আসলে ইসলাম আমাদেরকে খুব সহজ যেসব নিয়মনীতি দিয়েছিল, সেগুলো বাস্তবিক অর্থে না মানার কারণেই আমাদের সমাজে উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিয়ে এত ঝামেলা! বিষয়টি যদি আমরা বুঝতে পারতাম!
ফিলিস্তিন আরবের মূল ইস্যু : সৌদি আরব—বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন
** সৌদি মন্ত্রীসভাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। অন্য আরব দেশগুলো যখন একে একে ইসরাইলের সঙ্গে গোপন বন্ধুত্বকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসছে আর নিজেদের ভাইদেরকে আরও কোনঠাসা করে দিচ্ছে, সৌদি আরব তখন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। হারামাইন শরীফাইনের অধিকারী হওয়ার লাজ রক্ষা করেছেন সৌদি শাসক। আমরা আশা করি, মুসলমানদের প্রতিটি জাতীয় স্বার্থেই এভাবে এগিয়ে আসবেন ঐতিহ্যের অধিকারী এ রাজপরিবার।
১৬.১২.২০২০
আসামে ৬১০টি মাদরাসা বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার—বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন
** এর ব্যাখ্যায় আসামের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এসব মাদরাসার জন্যে সরকার বছরে ২৬০ কোটি রুপি ব্যয় করে। তাই এগুলোকে এখন উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে।
এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভারতে যে সময়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্ত চলছে, একই সময়ে সরকার মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্যে শত শত কোটি রুপি ব্যয় করবে, এটা ভাবা যায় না। আমাদের কওমি মাদরাসাগুলো যে সরকারি অনুদান নেয় না, এর একটি যৌক্তিক বাস্তবতা এবার সামনে এল।
১৮.১২.২০২০
কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর, আ.লীগ নেতাসহ তিনজন আটক—নয়াদিগন্ত
** বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার অপরাধে যে চারজন মাদরাসা ছাত্র—শিক্ষককে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, অনেকেই বলছেন, এটা চক্রান্ত। এবার আওয়ামীলীগ নেতা আটক হলেন বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার অপরাধে। তবে সে চক্রান্তের আশঙ্কাই সত্যি হবে?
২০.১২.২০২০
নদী রক্ষায় বরাদ্দের ৭০% যায় পকেটে : কমিশন চেয়ারম্যান—বিডিনিউজ২৪.কম
** চেতন কিংবা অবচেতন—যেভাবেই হোক, বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের মুখ থেকে আমরা মাঝেমধ্যেই এ ধরনের সত্য বাণী শুনতে পাই। ফলে আমাদের কাক্সিক্ষত উন্নতি হয় না কেন—এ প্রশ্নের উত্তর সহজেই আমরা মিলিয়ে নিতে পারি। এটাকে আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে।
শিশু সামিউল হত্যা : মাসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড—বিডিনিউজ২৪.কম
** দশ বছর আগের একটি লোমহর্ষক ঘটনায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন। মা হত্যা করেছিলেন ছেলেকে। বাবা দায়ের করেছেন হত্যা মামলা। জামিনে মুক্তি পেয়ে মা এখন তার প্রেমিকসহ পলাতক। বাবাও মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। এমন ঘটনা যখন আমাদের সমাজে ঘটে, তখন সবাই অভিযুক্তকে খুব বকাবকি করে। কিন্তু আমরা কি আসলেই ভাবি কখনো—এ ঘটনা ঘটে কেন? এর পেছনে আসলে দায়ী কোন জিনিস? আমরা সেটা ভাবি না, কিংবা আমাদেরকে ভাবতে দেওয়া হয় না। সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হলে এসব ঘটনার পেছনের প্ররোচককে খুঁজে বের করতেই হবে।
২১.১২.২০২০
কর্মক্ষেত্রে নারীর যৌনহয়রানি আর কতদিন—প্রথম আলো
** এটি একটি নিবন্ধের শিরোনাম। লিখেছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি একটি জরিপের ফলাফল উল্লেখ করেছেন—আমাদের কর্মজীবী কত শতাংশ নারী নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কতভাবে যৌন হয়রানির শিকার। কেউ সহকর্মীদের মাধ্যমে, কেউ চাকুরিতে নিয়োগদাতার পক্ষ থেকে, কেউ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে—এভাবে নানান জনের পক্ষ থেকেই তারা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। এ কথাটিও উঠে এসেছে—নিপীড়কেরা নারীদের অভাবের সুযোগ নিচ্ছে! শেষে সুপারিশ করা হয়েছে—যেন এ নিয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়, সে আইন যথারীতি প্রয়োগ হয়, এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আমরা বলতে চাই—মি. মজুমদার, আপনি কথা যা বলেছেন শতভাগ সত্য বলেছেন। কিন্তু কথা হলো, নারীদের জন্যে ইসলাম যে নীতি ও বিধান প্রণয়ন করেছে, তা পাশ কাটিয়ে যত আইনই করা হোক, যত প্রযুক্তিই কাজে লাগানো হোক, এ সংকটের সমাধান হবে না। নারীদের যৌনহয়রানি যদি বন্ধ করতে হয়, যদি শান্তির জীবন তাদের কাম্য হয়, তবে প্রগতি আর আধুনিকতার নামে বাইরে বেরিয়ে পড়ার হাতছানিতে তাদের উপেক্ষা করতেই হবে। শান্তির এ একটাই পথ, এর বিকল্প নেই।
২৩.১২.২০২০
আ.লীগে ধনী বেশি, বিএনপিতে মামলা—প্রথম আলো
** পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের তথ্য দিয়ে এ রিপোর্ট করেছে দৈনিক প্রথম আলো। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিষয়টি এমনই হওয়ার ছিল। আমাদের দেশে বাস্তবতা হলো, কোনো দল ক্ষমতা গ্রহণ করলে সে দলের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যাহতি পান। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে। তাদের মামলা তো আর এখন সরিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। আর মামলা লড়তে লড়তেই তাদের ধনসম্পদে ভাটা পড়েছে কিনা—কে জানে!
২৪.১২.২০২০
টেকনাফে হিজড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রশিক্ষণসামগ্রী ও সনদপত্র বিতরণ—বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন
** এ আয়োজন যারা করেছেন, তারা ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত। বাস, ট্রেন, হাট—বাজার, বাসাবাড়ি—কোথায় নেই এ হিজড়াদের মহড়া! সন্ত্রাসী স্টাইলে তাদের চাঁদা আদায়ের দৃশ্য তো নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ নিয়ে যেন কারও কিছু বলার নেই। জনগণের দুর্দশা দেখার কেউ নেই। রাস্তাঘাট ছাপিয়ে তারা যখন দলবেঁধে বাসাবাড়িতে হানা দেয়, তখন বাড়িওয়ালারা সত্যিই অসহায় হয়ে পড়ে। অবশ্য হিজড়াদের পক্ষেও কথা বলার, তাদের সমস্যা নিয়ে ভাবার, তাদের সংকটগুলো দূর করার মানসিকতাও নেই আমাদের। কদিন আগে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে চালু হয়েছে হিজড়াদের মাদরাসা। টেকনাফে এবার দেওয়া হলো তাদের প্রশিক্ষণসামগ্রী ও সনদপত্র। এ উদ্যোগ আরও ছড়িয়ে পড়–ক। আশা করি, হিজড়াদের অন্যায় দৌড়াত্ম এতে বন্ধ হবে।
মহাক্ষমাশীল ট্রাম্প! বিদায় বেলায় ডজনে ডজনে ক্ষমা করছেন নিজের লোকদের—ইসলাম টাইমস
** তিনি এখন আর কী করবেন! আইনের ভেতরে থেকে ক্ষমতায় থাকার যত চেষ্টা করা যায়, সবটাই করেছেন। বারবার আদালতে গিয়েছেন আর প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি আমেরিকায় আছেন, থাকবেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়বেন। এ ঘোষণা যদি বাস্তবে রূপায়িত হয়, তবে নিজের লোকদের ভোট তো তার লাগবেই। বিদায়বেলায় আসামিদের ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়টি তাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে।